আত্মউপলব্ধি এবং আত্মঅনুসন্ধান দুটোই অনুপস্থিত

আমি বিশ্বাস করি পৃথিবীতে অন্যায় দুর্নীতি কমানোর একমাত্র সঠিক উপায় অনুশোচনা। আইন/নিয়মকানুনের বেড়াজাল দিয়ে সাময়িক মুক্তি সম্ভব কিন্তু শিকড় উপড়ানো সম্ভব না। আমাদের আগের জেনারেশন কিংবা আমার কৈশোরের সময়টা যে বর্তমান থেকে একটু হলেও দুর্নীতি বা নৈতিক অবক্ষয় কম দেখেছে তার কারন আমার কাছে মনে হয় – দিনের কোনও এক সময় কিংবা শান্ত/নিস্তব্ধ ঘরে একবার হলেও প্রশ্ন উকি দিত “এটা কি করলাম”! এখন অনুশোচনার কোনও সময় নেই, নিজেকে নিয়ে বসার সময় নেই। ৫ মিনিট ফ্রি থাকলেই ফেসবুকের অপ্রয়োজনীয় হাজারো র‍্যান্ডম ইনফরমেশন/গারবেজ প্রসেস শুরু হয় অথবা ইউটিউবে ২-৩ ঘণ্টার সস্তা বিনোদন। প্রতিদিন, প্রতিবার। আত্মউপলব্ধি এবং আত্মঅনুসন্ধান দুটোই অনুপস্থিত। ঘুমানোর আগেও জ্ঞান হারানো পর্যন্ত ইন্টারনেট। চিন্তাশক্তি কমছে তো কমছেই।

অনুশোচনা আরেকভাবে আসতে পারে – পরিবেশ দেখে। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে। কিন্তু হাজারও চোর পাশে থাকলে সবাইকে স্বাভাবিক লাগে, তখন আর চুরিকে চুরি মনে হয়না। একটা “ভাল” উদাহরণ থাকলে তবেই না খারাপকে চেনা যাবে। সত্যই যদি না থাকতো তবে কিসের রেফারেন্সে আমরা মিথ্যাকে চিনতে পারতাম।

অতনু সোম
সিএসই ডিসিপ্লিন
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।