কক্সবাজার ট্যুর প্ল্যান এবং রিভিউ - হোটেল নিসর্গ, মারমেইড বীচ রিসোর্ট

Coxs Bazar Lanscape

ইহা একটি পারিবারিক ট্যুর রিভিউ। ব্যাচেলর সম্প্রদায় না দেখাই উত্তম। ২ দিনে ফুটুস ফাটুস ট্যুর কিংবা মুড়ির টিনে ব্যাচেলর জীবনে যাওয়া যায় কিন্তু আমার মতো যার এক পা কবরে তাদের পক্ষে রিল্যাক্সেশন আর হয়না। তাই ইহা একটি বিলাসিতার ট্যুরের বর্ণনা। খুলনা থেকে কক্সবাজার। ৬ দিন ৫ রাত (জার্নি বাদে)। এত পুরানো ট্যুরিস্ট স্পট নিয়ে আরেকখানা বোরিং রিভিউয়ের উদ্দেশ্য? – যদি নতুন বিবাহিতদের উপকার হয়!

ট্রেনঃ

খুলনা থেকে রওনা দিয়েছি ট্রেনে। স্নিগ্ধা (এসি) চেয়ার। সুন্দরবন এক্সপ্রেস। চেয়ার খুবই আরামদায়ক। টিকেট ৯৫০ এর মতো। এসি বার্থ কাটতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সকাল সাড়ে ৮ টায় গিয়ে দেখি টিকেট নেই। তবে স্নিগ্ধায় উঠে দুঃখ ঘুচে গেছে। খুবই ভালো পরিবেশ এবং ফ্যাসিলিটি।

ঢাকা টু কক্সঃ

গ্রীনলাইন স্লিপার। শুয়ে শুয়ে গেছি। ২৫০০ per পেরসন। লোয়ার ডেক নিয়েছিলাম ওয়াইফ উঠতে পারবে কিনা ভেবে এবং বেশ বাজে অভিজ্ঞতা। শুয়ে যাওয়া যায় ঠিকই। কিন্তু পুরো বডি ঝাঁকি খেতে থাকে। স্লিপার কোচ চাকার ঠিক ওপরে। আরামদায়ক মনে হয়নি। আপার ডেক কেমন হবে বলতে পারছিনা।

প্রথম হোটেল নিসর্গঃ (Neeshorgo Hotel & Resort Ltd.)

টিউলিপের পর এই আরেকটি হোটেল আমার পছন্দ হয়েছে এবং এখানে দ্বিতীয়বার যেতে পারব। It’s magnifiscent. Exactly the place I want to spend my days. Infinity pool and undoubtedly better than Sayeman. The pool is AWESOME. এদের নিজস্ব বীচ নেই। এক্সোটিকা সাম্পানের সামনে থেকে বীচে যেতে হয়। নিসর্গ থেকে বীচ ১ মিনিটের হাটা পথ। কিন্তু ……… অসাধারণ বীচ। নেমে লাফানোর জন্য উপযুক্ত কিনা বলতে পারবনা। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্যের জন্য সফল। আমরা যাই বীচে হাটতে, পা ভিজাতে। ভিড় থেকে দূরে, ক্যামেরাম্যানদের ক্যাচ ক্যাচ থেকে দুরে। It’s exactly like that. সকালে ১০ জনের বেশি ট্যুরিস্ট বীচে দেখিনি। বিকালে ২০-৪০ ম্যাক্সিমাম। নিসর্গ একদম মেরিন ড্রাইভের শুরুতে।
নিসর্গর সিকিউরিটি ভাল লেগেছে। খেয়াল করে দেখলাম ওদের স্টাফ বের হওয়ার সময় তারা বডি সার্চ করে। সার্ভিস ১০০ তে ১০০। বালিশ চেয়েছিলাম এক্সট্রা, ১০ মিনিটে দিয়ে গেছে। প্রতিদিন রুমে এসে পুরানো এমেনিটিস বদলে দিয়ে গেছে। রুমে না থাকলেও ক্লিন করে দিয়ে গেছে। Do not disturb লাগিয়ে গেলে রুমে আসেনি। নিসর্গর ছাদে ৪ টি সেকশন। BBQ zone, Coffee zone, Hill view, and infinity pool. বারবিকিউ জোনে মাছ পোড়া, মুরগি পোড়া পাওয়া যায়। দাম অত্যাধিক। এটা হোটেলের সামনের দিকে। কফি জোনে কফি এবং জুস। কফি জোন নকল ঘাস দেওয়া, গাছ লাগানো, এবং উপরে ছাউনি। অসাধারণ জায়গা বসার জন্য এবং ছবি তোলার জন্য। উল্লেখ্যঃ আপনি মাছ পোড়া কিংবা কফি খান বা না খান গেস্ট হলেই এসব জায়গাতে আপনি বসে থাকতে পারবেন। BBQ zone থেকে সমুদ্রের ভিউ just stunnning. হিমছড়ি থেকে যেমন দেখায় তেমন বা তার থেকে কিছু ক্ষেত্রে ভাল। যেমন পাহাড়ের দিকটি। পুলে কোনও লিমিট নেই। কিন্তু পুল বন্ধ হয় ৫ টায়। এটা দুঃখজনক। আমি পুলে নামি সাধারণত রাত ৮ টায়। সেটা সম্ভব হয়নি। কফি জোনের দাম লিমিটের ভেতর। ৭ থেকে ৯ তলার কাঁপল রুমে সমুদ্র দেখা যায় আংশিক। তবে BBQ zone থেকে দেখার পর আপনার ওখানেই বসে থাকতে ইচ্ছা করবে। রাতের বেলা সমুদ্রের গর্জন তো আছেই। প্রতিদিন সকালে বীচে গিয়ে হেঁটেছি, নিরাপদ মনে হয়েছে। খাবারের কথা পরে বলছি সব একসাথে। তাদের ব্রেকফাস্ট বুফেতে লিমিটেড আইটেম কিন্তু টেস্ট ভালো। ভারি খাবারের মধ্যে ছিল পরোটা, মুরগী কারি, সবজি, প্যান কেক। ১০-১৫ টি আইটেম। খিচুরি দিলনা একদিনও, এটা একটা আফসোস। November এ তারা নিয়েছে 5K per night. ৩ দিন ছিলাম। নিসর্গ বুক করেছি ফোনে, ২০০০ বিকাশে নেয়, বাকিটা ফিজিক্যালি শেষদিনে। ৩ বার ফোন করলে ১ বার ধরবে।
I highly recommend Neeshorgo. It’s a perfect holiday destination.

ঘুরবেন কোথায়ঃ (Himchori ??, Inani, Patuar Tek, FunFest, Jhaubon)

দ্বিতীয় রিসোর্টে যাওয়ার পুরবে কক্সবাজারের কিছু ঘোরার পরামর্শ। আমরা ঘুরতে বেড়িয়েছিলাম নিসর্গতে থাকাকালীন, দ্বিতীয়দিন। একটি ইজি বাইক (ওখানে অনেকে টম টম বলে) ভাড়া করেছিলাম। আপনি চাইলে সিএনজি/চান্দের গাড়ি ভাড়া করতে পারেন। কিন্তু ওই যে! আমার বয়সে এতও স্পিড সহ্য হয়না। তাই সিএনজি। প্রথমে সকাল ৯.৩০ থেকে ১২ টা পর্যন্ত ডিল ছিল “ভুবনশান্তি ১০০ ফুট সিংহশয্যা – রাবার বাগান – রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহার”। তবে রাবার বাগানে বেশি যাইনি সময়ের কারণে এবং শ্রীমঙ্গলে ঘুরেছি সেজন্য। কেন্দ্রীয় মহাবিহার ফ্রি এবং সরকারি। ১০০ ফুট সিংহ শয্যাতে টিকেট আছে ১০/২০ টাকা। এরপর ইজি বাইক আমাদের নিসর্গতে নামিয়ে দিয়েছে ১২ টাতে। আমরা খেয়ে রেস্ট নিয়ে ২ টার দিকে আবার বেরিয়েছি। একই ইজি বাইক। উদ্দেশ্য পাটুয়ার টেক। এর ভেতর হিমছড়ি নেমেছি, ইনানি বীচ, এবং একটি র‍্যান্ডম প্লেস। আসছি সে কথায় এক্টুপরে। হিমছড়ি একদম লস প্রজেক্ট ছিল আমাদের জন্য। মানুষ ঠকানোর লোকের অভাব নেই সেখানে। ব্যবসা চলছে ওখানে। ৩০ টাকা টিকেট। ঝরনা নামে যেটা আছে ওটা ফালতু বললে ভুল বলা হবেনা। এরপর প্রায় ১০ তলা সমান সিড়ি ভেঙ্গে পাহাড় থেকে সমুদ্রের ভিউ। অবশ্যই সেটা সুন্দর কিন্তু ১০ তলা হেটে ওঠার মতো সুন্দর না যদি আপনার সায়েমান/নিসরগ/টিউলিপ এর উপর থেকে বীচ দেখার সুযোগ হয়ে থাকে। পাটুয়ার টেক জায়গাটা সেন্ট মারটিনের প্রবাল বীচের মতো। বেশই প্রবাল না থাকলেও পাহাড় এবং বীচ মিলে সুন্দর জায়গা। ইনানী বীচ মানুষে ভর্তি তাই আবারও লস প্রজেক্ট। পাটুয়ার টেক গিয়ে ফেরার সময় উদ্দেশ্য ছিল ঝাউবনে নেমে সূর্যাস্ত দেখা। কিন্তু পথের মধ্যেই সূর্যাস্তর সময় এসে যাওয়ায় আমরা র‍্যান্ডম একটি সুন্দর জায়গাতে নেমে গিয়েছিলাম। সেখানেও কিছু ঝাউগাছ ছিল, একটা সুন্দর বীচ ছিল। দারুণ লেগেছে জায়গাটি। তবে আপনি এভাবে থামলে আগে দেখে নিবেন আশে পাশে বেশ লোক আছে কিনা। নির্জন স্থানে নামা বুদ্ধিমানের কাজ হবেনা। শুধু রামু গেলে পরবে ইজি বাইকে ৫০০ র মতো। আর আমরা যে প্ল্যান বললাম এটা পুরোটা পরতে পারে ১৫০০-২০০০। ডিপেন্ড করছে আপনি কতো দিয়ে পারেন আর ড্রাইভার কতো নিয়ে পারে। চেষ্টা করবেন হোটেলের নীচে দাড়িয়ে থাকা ইজি বাইকে না উঠতে। দামি হোটেল থেকে বের হতে দেখলে দাম বাড়িয়ে বলবে।

দ্বিতীয় রিসোর্ট মারমেইডঃ (Mermaid Beach Resort)

অত্যাধিক ভাড়ার এই রিসোর্টে আমাদের অভিজ্ঞতা মিশ্র। লাক্সারিয়াস সন্দেহ নেই কিন্তু আহামরি কিছু নয়। যাদের মাটিতে পা পড়েনা তাদের জন্য উপযুক্ত। আমরা নিয়েছিলাম one bedroom beach bungalow. ওদের প্রতিটা রুমের আলাদা নাম আছে। বুকিং এর সময় শুনে নিবেন কোন রুম পাবেন এবং সেটা ইউটিউবে দেখে নিবেন ভালো লাগছে কিনা। সার্ভিস মোটামুটি। প্রচুর স্টাফ ওদের। কিন্তু এটাও একটু সমস্যা। যেমন বউয়ের সাথে হাট ধরে হাঁটছি, হঠাত পাশ থেকে দুম করে একজন বলে উঠবে “গুড ইভিনিং স্যার”। এবার ৫ মিনিটে অন্তত ৩ জন সেম কেস। এটা হয়ত ভাল জিনিস, কিন্তু আমি করছি রিল্যাক্স। মানুষ যতো কম কথা বলে তত ভালো। এরপর তারা তেল, শ্যাম্পু, হ্যান্ডোয়াসের সাবান দেয় শিশিতে। আমি একটি স্ট্যান্ডার্ড হ্যান্ডোয়াস (চাপ দিলে পক করে বের হবে এমন) চাইলাম দুইবার, তারা দেখছি বলে আর খোজ নেই। শেষ পর্যন্ত দেয়নি এবং জানানোর দরকারটুকু অনুভব করেনি। একটি মাটির ঘরের ফিল আনতে গিয়ে বেধেছে আরেক বিপত্তি। চাটাই/বাশ সিলিং থেকে পোকা পরেছিল বিছানার উপর। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি পোকা মরে পরে আছে ফ্লোরে। Posh resort বটে। ৩ মিনিটের হাটার রাস্তার জন্য ইজি বাইক আছে, কমপ্লিমেন্টারি। মারমেইডের বীচ সবসময় এভেইলেবল না। আমরা যখন গিয়েছি তখন সকাল ৭-১১ টা বীচ(জোয়াড়), তারপর পানি নেমে যায় এবং বীচ অনেক দূরে সরে যায়। বীচে যাওয়াও সম্ভব হয়না কারণ খাল থাকে। আবার জোয়ার এসে বীচ হয় সন্ধ্যার পর। তখন আপনি পারে বসে সমুদ্রের শব্দ উপভোগ করতে পারবেন। মাত্র ১০-১৫ হাত দূরে সমুদ্র থাকে। বসার স্পট সব ফ্রি। প্রচুর খাবার পানি দেয় তারা। কমপ্লিমেন্টারি চা থাকে।
এদের খাবারের দাম! এদের খাবারের দামে নেপাল ঘুরে আসা যাবে। তাই আমরা ভেতরে কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্ট ছাড়া কিছু খাইনি। বুফে ব্রেকফাস্ট অসাধারণ। অসংখ্য আইটেম। টেস্টও অসাধারণ। আমার মনে হয়েছে যারা বীচে হাটতে চায়না কিন্তু সমুদ্র দেখতে চায়, এবং গ্রাম থেকে দূরে তাদের জন্য মারমেইড ঠিক আছে। নয়ত আমি একটু হতাশই বটে। ওহ! নভেম্বর/ডিসেম্বর শুরুতে আমাদের রুমের ভাড়া ছিল সাড়ে এগারোর মতো। আমরা অনেক আগে বুকিং দিয়ে রেখেছিলাম তাই কিছু কম পরেছিল।

ঝাউবন ও লাল কাঁকড়া বীচঃ (FunFest Beach)

মারমেইডের হীরার মতো দামি খাবার খেতে না পেরে আমরা বাইরে খেয়েছি। মারমেইড থেকে ৩ কিলোমিটার মতো আগে ২/৩ টি রেস্টুরেন্ট আছে। সস্তা। সেখানে খেয়েছি। এবং তার পাশেই ফানফেস্ট প্যারাসেইলিং স্পট। এই প্যারাসেইলিং স্পটে যেতে হয় ঝাউবন পেরিয়ে। এই যায়গাটি অসম্ভব সুন্দর। অসম্ভব সুন্দর। অসম্ভব সুন্দর। হাজার হাজার গাছ প্ল্যান করে লাগানো। অপূর্ব। এই বীচে ১৫-২০ জন লোক থাকে। বিকালে সামান্য বাড়ে। এই বীচটিও হাটার জন্য দারুণ। বীচ থেকে হিমছড়ির দিকে হেটে গেলে দেখা পাওয়া যায় হাজার হাজার কাঁকড়া। লালা কাঁকড়া। কাঁকড়া গুলি আবার মানুষ দেখলে গর্তে ঢুকে যেতে থাকে। এই বীচের একপাশে বিশাল সমুদ্র এবং অন্য পাশে পাহাড়। সে এক অপরূপ সৌন্দর্য। আমি এর পরেরবার অন্য কোথায় ঘোরাঘুরি না করে শুধু একটা দিন এই বীচে কাটাবো এবং সাথে এই ঝাউবনে। চোখ ধাঁধানো রূপ দেখেছি আমি।

 

কোথায় গিলবেনঃ (Poushi, Jhaubon, Sun Dancer Cafe)

যেহেতু আমি বাসায় ভালমন্দ খেয়ে থাকি তাই ট্যুরে গিয়ে খাওয়া নিয়ে আমার খুব বেশই মাথাব্যাথা থাকেনা। পেট ভরতে হবে এবং স্পেশাল কিছু জায়গায় খাবো এমন ইচ্ছা থাকে। তাই নিসর্গতে দাম মোটামুটি বাজেটে হলেও সেখানে না খেয়ে খেয়েছি “অল ছালা দিয়ে ঢাকা” হোটেলে। প্রতি বেলা ২২০ টাকায় দুইজন। এ বাদে একদিন ডিনার করেছি পউষিতে। পউষির মালিক বদল হয়েছে। পউষি ডলফিন মোরে চলে আসবে। আমরা পুরানো স্থানেই গিয়েছিলাম। সেখানে আমিষ ভর্তা থালি, লইট্টা ফ্রাই এবং কোরাল ভর্তা খেয়েছি। সাথে তাদের স্পেশাল পুডিং। চিনিগুড়া চালের ভাত দেয়। পেট ভরবে তবু মন ভরবেনা এখানে খেয়ে। দারুণ খাবার। দুইজন বিল উঠিয়েছি ৭৪০। এরপর খেয়েছি ঝাউবন দ্বিতীয় শাখাতে। এটাও দারুণ খাবার জায়গা। মিডিয়াম চিংড়ি কারি, বেগুন ভর্তা দিয়ে দুইজন বিল করেছি ৪১৫। একটা নতুন জায়গাতে খেয়েছি এবং সেটা ছিল অসাধারণ। Sun Dancer cafe. নিসর্গ থেকে ১ মিনিটের হাটা পথ। আঙ্গুল চেটে খাওয়ার মতো খাবার। এটার ডেকোরেশনই ৪ স্টার হোটেলের মতো। জুস অর্ডার করেছিলাম দুটি – খুবই সুস্বাদু। একটু praicy but this place definitely worth it. ছবি তোলার জন্যও উপযুক্ত। মারমেইডে থেকে খুবই সাধারণ যায়গাতে খেয়েছি।

হইয়াও হইলনা শেষ

এই বাস সিন্ডিকেটই যত নষ্টের গোড়া। বেশিরভাগ বাসের সময় সকাল ১০-১১ টা। ওদিকে হোটেলের চেকাউট ১১ টা। তার মানে আপনাকে ফ্রি বুফে কোনও রকমে সেড়ে সময়ের আগেই দামি হোটেল ছেড়ে বাস ধরতে হবে। তাড়াহুড়ো। কিন্তু ওই যে! আমার মতো বুড়ো বয়সে সম্ভব না। তাই রাত ১০ টায় কেটেছি। ১১ টায় মারমেইড থেকে বেড়িয়ে সুগন্ধা থেকে ১৫ মিনিট দূরত্বের একটি জায়গাতে ছিলাম কিছুক্ষণ। মাঝে ৩ ঘণ্টা সুগন্ধা বীচে এসে কাটিয়েছি। তারপর রাত ১০ টায় রওনা দিয়েছি।

ফেরার পালাঃ

এবার ফিরেছি গ্রীনলাইন বিজনেস ক্লাসে। স্লিপারের অভিজ্ঞতা যেহেতু খারাপ ছিল। ১৮০০ টাকা। তারপর ঢাকা থেকে খুলনা আবারও ট্রেনে। স্নিগ্ধা (এসি) চেয়ার।

অবশ্যই অনেক খরচ কমানো যেত। এবং আগেই বলে নিয়েছি এটা মোটেই বাজেট ফ্রেন্ডলি নয়। এটা করোনা কালে ১ বছর ঘরে পচন ধরা থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে একটি শান্তি খোজার ট্যুর।

Photo Album