তিনটি ফেসবুক গ্রুপ/পেজ যা বাঙালীর ফলো করা উচিৎ

মন্দ কিছু শোনো না ,
মন্দ কিছু দেখো না ,
মন্দ কিছু বলো না কখন ও
এই হোক জীবনের গান ।
মনে রেখো চির দিন চির কাল ।

ভারতীয় বাংলা এই গানটির গুরুত্ব এখন অনেক বেশি। এক টেড টকে দেখেছিলাম পরিবেশের উপর মানুষের আচরণ অনেকটা নির্ভর করে। এক গবেষণাতে দেখা গেছে – কিছু মানুষকে দুইটা অপশন দেওয়া হয়েছে খাবারের। একটা স্বাস্থ্যকর আরেকটা জাঙ্ক ফুড। যাদের অফার করা হয়েছে তাদের কয়েকজন খুব নোংরা পরিবেশে থাকে। সারাদিন ঝগড়া করে বেড়ায়, ড্রিঙ্ক করে। দেখা গেল তারা সবাই জাঙ্ক ফুড চয়েস করেছে। অপরদিকে যারা ভালো পরিবেশে থাকে তাদের ৬০% স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়েছে। ৪০% জাঙ্ক ফুড। পরিবেশের ভিত্তিতে আমাদের আচরণ চ্যাঞ্জ হয়। একবার যা মাথায় ঢুকে যায় সেটা আমার মস্তিষ্ক এমনভাবে বদলে দেবে যা থেকে ফিরে আসা কঠিন। আর ফেসবুক এমন নোংরা ইনপুটের আদর্শ যায়গা। তার এত লাখ লাখ আবর্জনা কন্টেন্টের মাঝে নিজেকে পাহাড়সম নেগেটিভিটি থেকে বাচাতে আমাদের উচিত কিছু পজিটিভ পেজ/গ্রুপ ফলো করা, যেটা আমাদের পজিটিভ এনার্জি জোগাবে। যেখানে রক্তের ছবি আসবেনা, ধর্ম নিয়ে তুমুল ঝড় উঠবেনা, মানুষ আরেকজনকে ছোট করেনা। আমি তিনটি পেজের কথা বলছি যা সত্যিই ভিন্নধর্মী।

১) প্রথম গ্রুপ্টির নাম “পেন্সিল” 

তাদের বর্ণনা অনুসারেঃ

কালে চক্রে মননে মানসিকতায় মেল-বন্ধন খুঁজে পাওয়া কিছু মানুষের স্বপ্ন নিয়ে পেন্সিল। এদের ক’জন সব্যসাচী লেখিয়ে, কেউ একেবারেই আনকোরা- তবু সাহস করে প্রথম কদম রেখেছে লেখিয়েদের ভূ-খণ্ডে। আলো ছড়ানো, পরিচ্ছন্ন মতবিনিময়ের জন্যে লেখিয়ে এবং পাঠকদের নিয়েই পেন্সিল। নানা বয়সের, নানা মতাদর্শের, নানা রঙের মানুষের সমাবেশে পেন্সিল। খুব সামান্যই চাওয়া উদ্যোক্তাদের- প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা ছড়িয়ে দেওয়া। সময়গুলি সৃজনশীল পজিটিভিটিতে ভরিয়ে তোলা।

ছবি, গান, গল্পে জমে উঠেছে গ্রুপটি।

২) অসাধারণ সব গানের পেজ “Gan goppo – গান গপ্পো ” 

বাংলা গানের এক অনন্য সমাহার এই পেজ। সেলিব্রিটি গায়ক/গায়িকার কিংবা অখ্যাত পাড়ার পোড়ের গলা ছেড়ে গাওয়া ছেলের গান। সব ধরনের বাংলা গান আসে এখানে। মন ভালো করা গান।

৩) শেষ গ্রুপটি “ক্যানভাস – Canvas” 

সৃজনশীল গ্রুপ। এখানে সৃজনশীল লেখালেখির পাশাপাশি ছবি, ভিডিও, ফটোগ্রাফি ইত্যাদিও শেয়ার করা যাবে। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে কী ধরনের লেখালেখি পোস্ট করা যাবে। উত্তর হচ্ছে, গল্প, কবিতা, উপন্যাস থেকে শুরু করে যেকোন সামাজিক ইস্যুতে নিজের পয়েন্ট অফ ভিউ, ধর্মীয় মতবাদ, বিজ্ঞান, খেলাধুলা, কুসংস্কার বিরোধী লেখা, স্যাটায়ার, কার্টুন ইত্যাদি যেকোন কিছু হতে পারে।

মানুষের ক্রিয়েটিভিটি দেখে সময় কেটে যাবে এখানে।